হিংসা নয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই বদল আনা উচিত। শীতলকুচির ঘটনায় এমনই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন গ্রেটার কোচবিহারের নেতা অনন্ত রায়। সেই সঙ্গে তাঁর সাফ কথা, ধর্মের ভিত্তিতে তিনি ভাগাভাগি চান না। তাঁর মতে, শীতলকুচিতে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই রাজবংশী। হিন্দু–মুসলমান কোনও ভাগাভাগি নেই।
অনন্ত রায় এখন থাকেন অসমে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি অসমে গিয়ে অনন্ত রায়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারে নির্বাচনের দিন কোচবিহারেই ছিলেন রাজবংশীদের কাছে ‘মহারাজা’ হিসেবে পরিচয় দেন অনন্ত রায়। বেশ কিছু রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা তাঁর বিরুদ্ধে চলায় গত বছরের অগস্টের পর থেকে কোচবিহারে থাকতে পারেন না অনন্ত রায়।
গত ১০ এপ্রিলে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে অনন্ত রায় বলেন, ‘কেউ যদি আইন হাতে নিতে চায়, তাহলে তো গুলি চালাতে হবেই।আমার মনে হয়, হিংসা নয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন বদল আনা উচিত।’ তিনিও কি রাজ্যে পরিবর্তন চান, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে না চাইলেও তাঁর কথায়, সবাই তো পরিবর্তন চাইছেন। এখন দেখা যাক কী হয়।’
একইসঙ্গে ধর্মের ভিত্তিতে হিন্দু ও মুসলমানে যে ভাগাভাগি করা হচ্ছে, তা যে তিনি পছন্দ করছেন না, সেকথাও জানিয়ে দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'হিন্দুরাই শুধু রাজবংশী এমনটা ইতিহাসে পড়িনি। রাজবংশী মানে সবাই তফিসিলি, এমনটাও নয়। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র সবাইকে রাজবংশী বলা যেতে পারে।'