জলদাপাড়া আভয়ারণ্যে একের পর এক গন্ডারের মৃত্যুতে উদ্বেগে বনদফতর। বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বনাঞ্চলে ৫টি মাদি গন্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পশু চিকিত্সকদের আশঙ্কা, অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে থাকতে পারে বনাঞ্চলে। তবে মৃত প্রতিটি প্রাণীই স্ত্রী কেন তা নিয়ে উঠে আসছে নানা তত্ত্ব। মৃত গন্ডারের দেহের নমুনা বেলেঘাটায় প্রাণী সম্পদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট হাতে এলেই সুনির্দিষ্টভাবে এতগুলি গন্ডারের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা।
বুধবার জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে প্রথম গন্ডারটির মৃত্যু হয়। শাবক নিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় প্রাণীটির। তার পর থেকে বনাঞ্চলের পূর্ব রেঞ্জের শিশামারা ও মালঙ্গি বিটে মোট ৪টি গন্ডার ও ১টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বনকর্তাদের অনুমান, গন্ডারের মৃত্যুর কারণ অ্যানথ্রাক্স। ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে কুনকি হাতি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে বিট দুটিকে। কুনকি হাতিদের দেওয়া হয়েছে অ্যানথ্রাক্সের টিকা।
ওদিকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে শুক্রবার থেকেই প্রাণীদের অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া শুরু করেছে বনদফতর। কোথাও আরও কোনও প্রাণীর দেহ পড়ে রয়েছে কি না তা জানতে ওড়ানো হয়েছে ড্রোন।
বন দফতরের অনুমান, বনবস্তিতে থাকা গবাদি পশু থেকে বনাঞ্চলে ছড়িয়েছে অ্যানথ্রাক্স। তবে তার হদিশ পেতে অপেক্ষা করতে হবে বেলেঘাটার ল্যাবরেটরির রিপোর্টের ওপরে। অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ নিশ্চিত হলে বনবস্তি ও বনাঞ্চল লাগোয়া গ্রামগুলির গবাদি পশুদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে।