বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরুপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে তৃণমূলে ফেরার পালা। জেলায় জেলায় পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুলে নাম লেখাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। তবে নন্দীগ্রামে এখনো জারি রয়েছে শুভেন্দু ম্যাজিক। সেখানে শনিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন ৫০ জন। হারের পরেও বিজেপির প্রতি এই আস্থায় দলীয় কর্মীদের মনোবল আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শনিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ হাই স্কুল সভাকক্ষে বিজেপির কার্যকারিনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন ৫০ জন। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনিমা ভুঁইয়া ও তার সহযোগীরা এদিন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পর এক মহিলা কর্মী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছেন যে শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর নেতৃত্বেই আগামী দিনে এই সরকারকে সরাবো আমরা।
পাশাপাশি এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিকবার সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আমি শুনেছি মাননীয়া ঠেলাগাড়ি দিচ্ছেন। উনি তো চাকরি দিতে পারবেন না। তাই ঠেলাগাড়ি সহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করছেন। উনি আসার পর একাধিক শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেকার হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সমস্ত মনিটরিং হচ্ছে কোর্টের নির্দেশে। যেখানে খুশি এই সরকার যেতে পারে। আমরা চাই বিষয়টিতে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করুক।