ফের নাবালিকা ধর্ষণ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযুক্তকে ধরে গণধোলাই দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইঁটবৃষ্টি। তাতে মাথা ফেটেছে এক এএসআই-এর। আহত আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ার।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতভর তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে ইসলামপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার চণ্ডীপুর গ্রামে ১০ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, নজরুল ওরফে ভোলা নামে ওই প্রৌঢ় এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাল – পাট ইত্যাদি খরিদ করেন। শুক্রবার বিকেলে তেমনই কিছু চাল তাঁর কাছে বিক্রি করে নির্যাতিতার পরিবার। তখন নাবালিকা ও তাঁর ৬ বছরের বোনকে চাল মাপতে হবে বলে গুদামে নিয়ে যান নজরুল। সেখানে ১০ বছরের ওই কিশোরীকে তিনি ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
এর পর ২ নাবালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে চালের দাম মিটিয়ে দেন অভিযুক্ত। তার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে কিশোরীর রক্তপাত হতে দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন তাঁর মা। এর পর ধরে আনা হয় অভিযুক্তকে। তাঁকে বেঁধে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতা তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে। কোনওক্রমে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
নির্যাতিতা কিশোরীকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের তরফে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।