নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁকে সেন্সর করার আবেদন জানিয়ে তৃণমূলের স্মারকলিপি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় উপনির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে বাঁকুড়ার সিমলিপালে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫৯৬টা মন্দির ভেঙেছেন। একবার নয়, একশ’ বার বলব।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ভোট চাইতে একথা বলছেন না তিনি।
আরও পড়ুন - কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীর বিসর্জনের আগেই দাউ দাউ করে আগুন ক্লাবে, মৃত ১
পড়তে থাকুন - উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং, ডাকার পরেও এলেন না ১৪৪জন, চাকরি নিতেও অনীহা!
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গেছেন। যান না। প্রতিদিন যান। নো প্রবলেম। বাংলাদেশে ৫৯৬টা মন্দির ভেঙেছে। একবার নয়, একশ’ বার বলব। গোটা পৃথিবীর হিন্দুরা বলবে। ওইটা দেখিয়ে ভোট চাইছি না। যা সত্যি তাই বলছি। আপনি যখন বলেন, তিস্তার জল দেব না। আগে মমতাকে শো-কজ করুন, তার পর আমাকে শো-কজ করবেন। আমি উত্তর দিয়ে দেব।’
এর পরই রাজ্যে হিন্দুদের অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনাগুলি উল্লেখ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি বলব, ফালাকাটায় দুর্গামণ্ডপে ঢুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের লোকেরা ঘণ্টা বাজবে না, শাঁখ বাজবে না, উলুধ্বনী দেবেন না। আপনার পুলিশ কী করছিল? আইনশৃঙ্খলার কথা বলা যাবে না। গার্ডেনরিচে ঢুকে বলছে চণ্ডীপাঠ করা যাবে না। মাইক বন্ধ রাখুন। মগের মুলুক? আপনার পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে? হাওড়া জেলার শ্যামপুরে বিজয়া দশমীর দিন ৫টা দুর্গামূর্তি ভেঙেছেন। প্রতিবাদ করব না? আমি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেও বলব, জয় শ্রী রাম।’
আরও পড়ুন - ভাসান দেখে ফেরার সময় মারধরে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার ৩, অধরা মূল অভিযুক্ত
সোমবার রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল শুভেন্দু অধিকারীকে সেন্সর করার দাবি জানায়। তৃণমূলের দাবি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনী সভা থেকে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী। যাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তবে তৃণমূলের আবেদনে এখনও শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন।