দিন কয়েক আগে বীরভূমের মহম্মদ বাজারে ডিটোনেটর ভর্তি একটি গাড়ি ধাওয়া করে ধরে ফেলে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়। সেই চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বিস্ফোরক মজুত থাকা একটি গুদামের হদিশ পায় এসটিএফ। সেই গুদামে হানা দিয়ে ৬০০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গুদামের মালিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
গত বুধবার নির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মহম্মদবাজার থানার কাছে চার চাকার একটি গাড়িকে আটক করে পুলিশ। গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। গাড়ির চালক সুনীল কেওরাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ এলাকা থেকে রামপুরহাটে আনা হচ্ছিল ডিটোনেটরগুলি। কিন্তু কেন আনা হচ্ছিল এই ডিটোনেটরগুলি, সেই কথা জানতে গিয়ে পুলিশ কাছে একটি তথ্য চলে আসে। জানা যায়, এই বীরভূমে একটি গুদাম রয়েছে যেখানে আরও বিস্ফোরক রাখা আছে। সুনীলের দেওয়া তথ্য অনুসারে বীরভূমের নলহাটির লক্ষৌওয়াড়ার একটি গুদামে হানা দেয় পুলিশ। সেই গুদামে হানা দিয়ে ৬০০ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গুদামের মালিক সেন্টু শেখকে পুলিশ খুঁজছে। তাঁকে এখনও ধরা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ মনে করছে, গুদামের মালিককে যদি ধরা যায়, তাহলে আরও অনেক তথ্য উদ্ধার করা যাবে। বারবার কেন বীরভূম থেকে বিস্ফোরক, বোমা উদ্ধার হচ্ছে, উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে জানানো হয়েছে, ভয়ের কিছু নেই। সচেতন থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। পরপর ২ দিন ডিটোনেটর ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আরও তল্লাশি চালাচ্ছে প্রশাসন।
কয়েক মাস আগেই এই বীরভূমের বগটুই গ্রামে ভাদু শেখের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যা গোটা রাজ্যকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক যেন উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।