কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার দাবি বহুদিনের। এই নিয়ে মামলায় উচ্চ আদালত রায় দিয়েছিল কর্মচারীদের পক্ষেই। তবে তাও বকেয়া ডিএ দেওয়া হয়নি কর্মীদের। উলটে করা হয়েছে রিভিউ পিটিশন। এই আবহে নবান্ন অভিযানের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মুখে বারংবার ডিএ ইস্যু উঠে এসেছে।
1/4সোমবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘পুলিশদের ডিএ পাইয়ে দেওয়ার জন্যই বিজেপির এই লড়াই। পুলিশকেও পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়ার জন্য বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। ইলেকট্রিক বিলের খরচও বেড়েছে। তাঁদেরও পরিবারে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা শিক্ষিত হয়েও বছরের পর বছর চাকরি না পেয়ে বাড়িতে বসে আছেন।’
2/4এর আগে শুভেন্দু হুগলিতে পাণ্ডুয়ায় বিজেপির একটি সভা থেকে প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে পুলিশ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দেওয়া হবে। শুভেন্দু নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, ‘পুলিশ কর্মীদের বলব আপনারা ডিএ পাচ্ছেন না। একজন কনস্টেবল দশ হাজার টাকা কম পাচ্ছে। একজন এসআই কুড়ি হাজার। আমাদের সরকার এলে আরটিজিএস বা এনইএফটি করে ২৪ ঘণ্টায় ডিএ অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেব। আর পুলিশকে বলব নবান্নে আমাদের আটকাবেন না।’
3/4গত ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা করেনি রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গত ১৯ অগস্টের মধ্যে বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়নি। হাই কোর্টের সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। সরকারি কর্মীদের আশা, মামলার রায় তাঁদের পক্ষেই যাবে।
4/4বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে আদালতে রাজ্যের বক্তব্য, ‘ডিএ সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। তবে রোপা রুল অনুযায়ী ১৬ শতাংশ ডিএ ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করছে রাজ্য।’ যদিও রাজ্যের পুনর্বিবেচনার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের বেঞ্চ আগেই জানিয়েছিল, এই মামলার পূর্বতন রায়ের পুনর্বিবেচনার সুযোগ কম। এ নিয়ে বিচারপতি সামন্ত বলেছিলেন, ‘AICPI অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। ডিভিশন বেঞ্চে এমনই রায় দেওয়া হয়েছিল। তার পরও রাজ্যের আবেদন পুনর্বিবেচনার দাবি কি আদৌ গ্রহণযোগ্য?’ ছবি সৌজন্য : পিটিআই