চন্দননগরে নিজের বাড়ি থেকে শিশুর নিথর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস্য। নিখিল বিশ্বাস নামে ৬ বছরের শিশুটির বাবার দাবি, ডাকাতি করতে এসে ছেলেকে খুন করেছে কেউ বা কারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চন্দননগরের ডিসিপি অলকানন্দ ভাওয়াল ও চন্দননগর থানার আইসি শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বিকেলে চন্দননগরের কুণ্ডুঘাট এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার হয়। শিশুটির বাবার দাবি, দুপুরে শিশুটির মা বাড়িতে ছিলেন না। দরজা ছিল খোলা। বাড়িতে নিজের বিছানায় কম্বল চাপা দিয়ে ঘুমাচ্ছিল শিশুটি। বিকেলে শিশুটির মা বাড়ি ফিরে মেয়েকে বলেন ভাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে। সে গিয়ে ভাইকে ডাকাডাকি করলেও ঘুম থেকে ওঠানি শিশুটি। এর পর শিশুটির মা এসে দেখে শিশুটির দেহ ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
শিশুটির বাবার দাবি, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল ছেলের মৃত্যুতে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দেখেন আলমারিতে চাবি ঝুলছে। তখন তিনি স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন স্ত্রী আলমারি খুলেছিলেন কি না। স্ত্রী জানান, তিনি আলমারিতে হাত দেননি। এর পর আলমারি খুলে দেখা যায় সেখান থেকে খোয়া গিয়েছে ৪০ হাজার টাকা ও বেশ কিছু সোনার গয়না। এর পরই শিশুটির বাবা দাবি করেন, লুঠ করতে এসে কেউ বা কারা তাঁর ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। শিশুটির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। শিশুটির বাবার বলেন, আমার স্ত্রী মাঝে মাঝেই দুপুরবেলা দরজা খোলা রেখে যেতেন। কেউ সেটা খেয়াল করে ঘরে ঢুকে এই কাজ করেছে।