বুধবারের বনধে হিংসার ঘটনায় মালদার সুজাপুর থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরও ৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। ওদিকে বুধবারের হিংসার ঘটনার তদন্তভার CID-র হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত হবে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও।
বুধবার মালদার সুজাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। বেশ কিছুক্ষণ পর অবরোধ তুলতে পৌঁছয় পুলিশ। এর পরই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে ২ পক্ষের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালান পুলিশকর্মীরা। এরই মধ্যে সুজাপুর বাসস্ট্যান্ডে দ্বলতে থাকে পুলিশের ২টি গাড়ি।
ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যায় সুজাপুরে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করছেন পুলিশকর্মীরাই। বিকেলে সেই ভিডিয়োর সত্যতা স্বীকার করে নেন মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।
এর পরই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। গাড়ি ভাঙচুরে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
বুধবারের ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাকে দায়ী করেছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তাতেই ছড়িয়েছে হিংসা। একই দাবি করেছে কংগ্রেসও। পালটা সিপিএমের বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।