দীপাবলির আগে সুখবর পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো না হলে বড়সড় আন্দোলনে নামা হবে।
বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের দাবি, ক্রমশ কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএয়ের ফারাক বেড়ে চলছে। বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘উপহারের’ পর ফারাক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও হেলদোল নেই। রীতিমতো বঞ্চনা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী এখনও সপ্তম বেতন কমিশনও কার্যকর করা হয়নি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া দামের জেরে নাভিঃশ্বাস উঠছে। অথচ রাজ্যের তরফে প্রাপ্য ডিএ আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যের তরফে যদি প্রাপ্য ডিএ দেওয়ার সদিচ্ছা দেখানো না হয়, তাহলে আন্দোলনে নামা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এমনিতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মাসকয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বাড়ানো হয়েছিল। সেইসঙ্গে (ডিআর) বাড়ানো হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদেরও ডিয়ারনেস রিলিফ। চলতি বছরের জুলাই থেকে তাঁরা ২৮ শতাংশ ডিএ বা ডিআর পাচ্ছিলেন। যা আগে ১৭ শতাংশ ছিল। বিভিন্ন সংগঠনের দাবি, মূল্যবৃদ্ধির সূচকের ভিত্তিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তিন শতাংশ, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার শতাংশ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত চার শতাংশ ডিএ বকেয়া ছিল। সবমিলিয়ে ১১ শতাংশ বাড়ানো ডিএ এবং ডিআর বাড়ানো হয়েছিল। সেই সময় ‘এরিয়ার’ বা বকেয়া না দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আরও তিন শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। তার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩১ শতাংশ ডিএ পাবেন।