কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তার ফলে লাভবান হতে চলেছেন প্রায় ২০,০০০ কর্মী।
বকেয়া ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি ও ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। সেই আর্জি খারিজ করে শনিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দুই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। পর্যাপ্ত মুনাফা না হওয়ায় কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ার যে যুক্তি দেখানো হয়েছিল, তাও নাকচ হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, দুই সংস্থার ব্যালান্স শিট থেকেই যে ওই সময়ের মধ্যে আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল। তাই কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কোনওভাবেই ছাড় মিলবে না।
২০০৯ সালের রোপা অনুযায়ী বিদ্যুৎকর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করা হত। কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাইয়ের পর তাতে দাঁড়ি পড়ে যায়। পরের তিন বছরও সেই বকেয়া ডিএ না দেওয়ায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় গিয়েছিল কর্মীদের সংগঠনের পক্ষে। ডিভিশন বেঞ্চেও কর্মীদের দাবির পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে। তার জেরে স্বভাবতই খুশি কর্মীরা। সংগঠনের এক প্রতিনিধি জানান, হাইকোর্টের রায়ের ফলে কর্মীরা বকেয়া ডিএ ন্যায্যভাবে পাবেন।
তবে এখনই পশ্চিমবঙ্গে অন্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে (বর্তমানে সপ্তম বেতন কমিশন) ডিএ পাচ্ছেন না। যা নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখেও পড়েছিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করেছিল, কেন কেন্দ্রের হারে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে না? কেন সর্বভারতীয় মূল্য সূচক মানছে না রাজ্য? রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার নয়।