জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা আয়োজনের দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে দফায় দফায় অবরোধ হয়। সেই অবরোধে আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হল সাত বছরের এক বালকের। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি কৃষ্ণনগরের।
এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর সাঙ শোভাযাত্রার দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়-সহ কোতোয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যরা। তাতে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পরে পিডব্লুউডি মোড় সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। তার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। কয়েক ঘণ্টা ধরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ হয়ে যায়। অবরোধ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।
তারইমধ্যে যানজটে আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসতে যানজট কাটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় বছর সাতেকের সফিকুল শেখের। মালদহের মোথাবাড়ি থানার বাটিটোলা গোরঅন্তপুর এলাকার সফিকুল ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ভরতি করা হয়েছিল মালদহ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই অবরোধে আটকে পড়ে সেই এসএসকেএমে চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ পায়নি সফিকুল।
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত বালকের পরিবার। রাতেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। তবে পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কেন আরও যানজট কাটানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।