জমি থেকে আলু তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে, মারধর, এমনকী গুলি চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের চৌরিয়া পাড়া এলাকায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পরিবারের ৬ থেকে ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত সাঁইথিয়া, ১৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করা হল ইন্টারনেট
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ফয়জুল হক এবং জাহিদুল ইসলাম, এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেই বিবাদ বড় আকার ধারণ করে। ফয়জুল হকের পরিবারের অভিযোগ, জমি থেকে আলু তোলা নিয়ে জাহিদুল ইসলাম ও তাঁর লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন ফয়জুল হকের বাড়ির সদস্যরা। ফয়জুল হক জানান, জমি থেকে আলু তোলাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর মেয়ে কলেজ থেকে ফেরার সময় তাঁর পথ আটকে জামা কাপড় ছিঁড়ে জাহিদুলের লোকজন। দুই ছেলে বাড়ির বাইরে থাকায় তিনি সেখানে গিয়ে কোনওভাবে মেয়েকে রক্ষা করে বাড়ি নিয়ে পালিয়ে আসেন। এরইমধ্যে জাহিদুল হকের লোকজন তাঁর বাড়িতে এসে হামলা চালায়। টাকা পয়সা লুটপাট করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং সদস্যদের মারধর করে।
পালটা জাহিদুল হকের অভিযোগ, ফয়জুল হক ও তাঁর বাড়ির লোকেরা তাঁদের হামলা চালায়। ঘটনায় তাঁদের বাড়ির তিন জন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে। যদিও ফয়জুল হকের পরিবার, গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য, লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক আছে তাঁদের কাছে। আত্মরক্ষার্থে এক রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন তাঁরা। অপরপক্ষ গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় গুলি চালানোর অভিযোগে আবদুল খালেক নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, আবদুল খালেক ফয়জুল হকের ভাই। এই ঘটনার পর রাজগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে৷