গাড়ি, অটো, টোটর পার্কিং কার হাতে থাকবে তাই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। আর তার জেরে ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ার শালিমার। মূলত পার্কিং এবং প্রমোটিং সিন্ডিকেটের বিবাদের জেরে রবিবার দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আর তাতে ইটবৃষ্টি থেকে শুরু করে ভাঙচুর করা হল গাড়ি। এমনকী মহিলাদেরও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় ব়্যাফ।
আরও পড়ুন: কালীপুজোকে কেন্দ্র করে দুই ক্লাবের মধ্যে সংঘর্ষ, মাথা ফাটল পুলিশকর্মীর
জানা যাচ্ছে, শালিমার স্টেশন লাগোয়া পার্কিংয়ের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর আগেও পার্কিংয়ের দখল নিয়ে ছোটখাট ঝামেলা হয়েছে। তবে পার্কিংয়ের দখল নিয়ে শনিবার রাত থেকেই সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। আর রবিবার তা চরম আকার ধারণ করে। দুপক্ষের হাতাহাতি, মারামারি এবং ইটবৃষ্টিতে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শনিবার সেখানে অশান্তি ছাড়ালে সেদিনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল পুলিশ। তবে এদিন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে পৌঁছয় বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশবাহিনী। কিন্তু, তারা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নামানো হয় ব়্যাফও। তারপরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে। এদিনের ঘটনায় একাধিক গাড়ি থেকে শুরু করে বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, আশেপাশের বেশকয়েকটি দোকান এবং বাড়ির টালির চালও ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার জেরে বাড়ির বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হয় স্থানীয়দের মধ্যে। এই মুহূর্তে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকাজুড়ে পুলিশি টহল চালানো হচ্ছে। শালিমার স্টেশন চত্বরে রয়েছেন আরপিএফ কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, মূলত পার্কিংয়ের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে তাই নিয়েই ঝামেলা। অভিযোগ উঠেছে, এই পার্কিং থেকে প্রচুর তোলাবাজি করা হয়। তাই দুই গোষ্ঠী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে পার্কিং রাখতে চাইছে। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার এক টোটো চালককে মারধর করার পরেই এদিনের ঘটনার সূত্রপাত।