গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতির সবথেকে চর্চিত নাম জন বারলা। আলিপুরদুয়ারের এই বিজেপি সাংসদ উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবি তোলার পর থেকেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও অখণ্ড রাজ্যের পক্ষেই সওয়াল করেছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে অস্বস্তি এড়াতে পারছেন না তাঁরাও। এরই মাঝে ফের একবার উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার দাবি তুলে সরব হলেন জন বারলা। দাবির নেপথ্যের কারণও সঙ্গে সঙ্গে তুলে ধরলেন সাংসদ।
দিলীপ ঘোষ অখণ্ড রাজ্যের পার্টি লাই ঠিক করে দিলেও সেই রেখায় হাঁটতে পারছেন না বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। এই আবহে মঙ্গলবার রাতে এক সাংবাদি সম্মেলন ডাকেন সাংসদ জন বারলা। সেখানেই জানান, কেন তিনি পৃথক উত্তরবঙ্গ চাইছেন। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জানান, কুমারগ্রামের ৯ বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রধান তৃণমূলের নির্যাতন থেকে বাঁচতে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বারলা দাবি করেন, কুমারগ্রাম বিজেপি পঞ্চায়েত সভাপতি, জেলা পরিষদকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও পুলিশের তরফে। এই সমস্ত প্রতিনিধিদের তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে বলা হচ্ছে এবং তৃণমূলে যোগদান করতে বলা হচ্ছে। আজ তাঁরা এতটাই ভয় পাচ্ছেন যে তাঁরা ঘর ছেড়ে আমার বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। এ বিষয়ে চিঠি লিখে জানিয়েছি রাজ্যপালকে। যদিও কুমারগ্রাম থানার আইসি বাসুদেব সরকারে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সাংবাদিকদের বারলা বলেন, 'আজ ভয়ে সবাই আমার বাড়িতে ছুটে এসেছেন। আমার বাড়িতেই থাকবেন তাঁরা। ঠিক এই কারণেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছি। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরাই রেশন, ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না। আমি এবিষয়ে রাজ্যপালের কাছে যাব। এবং তাঁকে এখানে এনে দেখাব কী অবস্থায় রয়েছেন সবাই।'