বিবেকানন্দের জন্মদিনে তৃণমূলের যুব দিবসের মিছিলে অংশগ্রহণ না করায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে একের পর এক আছাড়া মারার অভিযোগ দলের অন্য গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শিশুটির বাবাকেও ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শ্লীলতাহানি করা হয় শিশুটির মাকে। রবিবার রাতে হাওড়ার বাঁকড়ার রাজীব কলোনির ঘটনা। ঘটনার কথা স্বীকার করে পুলিশি ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায়।
আক্রান্ত শেখ মইবুল বাঁকড়ার রাজীব কলোনির বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, গত ১২ জানুয়ারি তৃণমূলের যুব দিবসের মিছিলে যোগদান করতে বেলগাছিয়া গিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল নেতা কৈলাশ মিশ্রের নেতৃত্বে হয় সেই মিছিল। কিন্তু তার পর হাওড়ায় তৃণমূল নেতা কল্যাণ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিলে আর যোগদান করতে পারেননি তিনি। সেজন্য রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় এলাকায় কল্যাণ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত শেখ জাহিদ। অভিযোগ, মইবুলকে ঘর থেকে টেনে বার করে ব্যাপক মারধর করে তারা। তাঁর গলা টিপে ধরা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে শ্লীলতাহানি করা হয় স্ত্রীর। তাঁরও পোশাক ছিঁড়ে গিয়েছে। এমনকী দম্পতির ৪ বছরের পুত্রসন্তানকে ঘর থেকে টেনা বার করে দুই পা ধরে রাস্তায় একের পর এক আছাড়র মারে জাহিদ ও তাঁর ভাইপো ইরান শেখ। গুরুতর জখম শিশুটি হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্ত মইবুল জানিয়েছেন, আমি কৈলাশ মিশ্রের মিছিলে গিয়েছিলাম। কিন্তু কল্যাণ ঘোষের মিছিলে যেতে পারিনি। আমি খেটে খাই। সারাদিন মিছিল করলে খাব কী? সেজন্য আমাকে ও আমার গোটা পরিবারকে মেরেছে জাহিদ। আমার ৪ বছরের ছেলেটাকে ঘর থেকে বার করে রাস্তায় একের পর এক আছাড় মেরেছে। এখন শুনছি আমাকে জানে মেরে দেবে।
একথা শুনে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, তৃণমূল এই ধরণের ঘটনা সমর্থন করে না। কেউ মিছিলে না গেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাড়ি গিয়ে মারধর করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।