প্রেমে পড়লে কত কী না হয়! প্রেমে পড়লে কারোর জীবন ভেসে যায়। আবার কারোর জীবনে আসে খুশির জোয়ার। তবে নদিয়ার প্রেমিকের জীবনে যা হল তা একেবারে অন্যরকম। নদিয়ার করিমপুরের সন্তানের মা চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলা প্রেমে পড়েছিলেন ১৬ বছর বয়সি এক কিশোর। ফোনে কথা চলত ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে।
আসলে তাঁর স্বামী থাকেন দুবাইতে। আর সেই সুযোগে কিশোরের প্রেমে হাবুডুবু খান মহিলা। বেশ ভালো চলছিল প্রেমের নৌকা। কিন্তু আচমকাই সেখানে এসে হাজির ওই মহিলার স্বামী। আসলে তিনি দুবাই থেকে ফিরে আসেন। এরপরই বুঝতে পারেন স্ত্রী পরকিয়াতে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
কীভাবে তাদের মধ্য়ে প্রেমের সূচনা?
আসলে সমাজমাধ্যমে তাদের মধ্য়ে আলাপ হয়। এরপর তারা ফোন নম্বর বিনিময় করেন। তারপর জমে ওঠে ফোনালাপ। আস্তে আস্তে তাদের মধ্য়ে সম্পর্ক জমতে থাকে। একলা থাকতেন ওই মহিলা। সঙ্গী বলতে সন্তান সামলানো। তার মাঝেই জীবনে এল ১৬ বছর বয়সি প্রেমিক। প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন দুজনেই। নতুন স্বপ্ন দুচোখ ভরে। রোজ রাতেই তাদের মধ্য়ে কথাবার্তা হত। নানা ধরনের কথা। প্রেমে একেবারে জমে উঠেছিল।
কীভাবে স্বামীর হাতে ধরা পড়লেন মহিলা?
আসলে দুবাই থেকে কাউকে কিছু না জানিয়েই ফিরে এসেছিলেন স্বামী। এরপর রাতের দিকে আচমকাই ফোন আসে স্ত্রীর ফোনে। অপর প্রান্তে তখন ওই কিশোর প্রেমিক। প্রায় ২২ মিনিট ধরে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কিশোরের আকুতি, ‘একবার দেখা করো’। কিছুক্ষণ বাদে কিশোর শুনতে পায় যে এক পুরুষ কণ্ঠ বলছে এবার তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে নাও। এই গলা পাওয়ার পরে আর ফোন করার সাহস পায়নি ওই কিশোর। আসলে ওই পুরুষ কণ্ঠটি হল মহিলার স্বামীর। তিনিই ধরে ফেলেন স্ত্রীর প্রেমিককে।
এরপর সারা রাত চিন্তা ওই কিশোরের। কী হবে কে জানে! এরপর সকাল হতেই দরজা খুলতেই সে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে প্রেমিকা। সঙ্গে তার স্বামী ও দুই সন্তান। মহিলার স্বামী জানিয়ে দেন, বিয়ে করে ফেলো এবার। এটা শুনে ওই কিশোরের তখন একেবারে ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। তার দাবি দু একদিন কথা বলেছি। তার মানে বিয়ে করতে হবে নাকি! এদিকে মহিলার স্বামী গোটা ঘটনা খুলে বলেন বাড়ির লোকজনকে। তবে স্বামীর এমন কাণ্ড একেবারে ভালো লাগেনি মহিলার। তবে টুরু লাভ যে এমন মোড় নেবে সেটা ভাবতে পারেননি কেউই।