বয়স মাত্র ৬ বছর। এখনও দুধের দাঁত পড়েনি। সেই দুগ্ধপষ্য শিশুই কি না প্রতিবেশী যুবকের লালসার শিকার হয়ে গেল! বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল সে। ঘুমন্ত অবস্থায় মুখ চাপা দিয়ে বাচ্চা মেয়েটির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবক। ফাঁকা পাম্পের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘৃণ্যতম এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খেরুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে ভাতার থানার পুলিশ। নির্যাতিতা শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার আদিবাসী সমাজ। আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের সদস্যরা ভাতার থানার সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটি ওই গ্রামের আদিবাসী পরিবারের সদস্য। শিশুটির বাবা-মা দুজনেই পেশায় দিন মজুরের কাজ করেন। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিন বাড়িতে শিশুদের শুয়ে রেখে তাঁরা কাজে গিয়েছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক ওই শিশুকন্যাকে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্যানেল পাড়ে একটি সাবমার্সিবল পাম্পের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।
নির্যাতিতা শিশুটির মা কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে তার মেয়েকে দেখতে না পেয়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা পর প্রচণ্ড অসুস্থ ওই শিশু সারা গায়ে কাদা মাখা অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তাকে অবিন্যস্ত অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকেদের। শিশুটিকে জিজ্ঞাস করতেই সে পড়শি যুবকের কুকীর্তির কথা মাকে জানিয়ে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। প্রতিবেশীরাই ওই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযোগ পেয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।