গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপর ব্রিটিশ জমানার সেতু বিপর্যয় এখনও পর্যন্ত প্রাণ কেড়েছে ১৩২ জনের। তার মধ্যে রয়েছেন বাংলার এক যুবকও। নিহত যুবকের নাম হাবিবুল শেখ। তিনি পূর্ব বর্ধমানের কালনার পূর্বস্থলির বাসিন্দা। তাঁর মৃত্যুর দুঃসংবাদ বাড়িতে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে তিনি গুজরাটে ছিলেন। সেখানে একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন হাবিবুল। সেই সূত্রেই তিনি বন্ধুদের সঙ্গে রবিবার মৌরবিতে ছটপুজো দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকা ভেঙে পড়ে ঝুলন্ত সেতু। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তারপরেই তাঁর বাড়িতে মৃত্যুর খবর জানায় তাঁর বন্ধুরা।
‘হয়ত বা ফিটনেস সার্টিফিকেটই ছিল না গুজরাটের ঝুলন্ত সেতুর’, দাবি পুর আধিকারিকের
সংস্কারের পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ১০০ বছরের পুরনো এই ঝুলন্ত সেতু। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার সময় এই সেতুতে ছিলেন প্রায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ। অনেকেই সাঁতার কেটে প্রাণে বাঁচতে পেরেছেন। ঘটনার পরে ১৭৭ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী দল। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আমদাবাদ থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ফৌজদারি মামলা দায়ের হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। মেরামতির পরেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল, সেতু বিপর্যয়ের দায় কার, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এছাড়া সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার জন্য শংসাপত্র নেওয়া হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। নিহতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে গুজরাট সরকার।