নদিয়ার গয়েশপুরের পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া। ফের বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সপ্তমীর দিন বাড়ির সামনেই বীরেন্দ্র সাউ (৪৪) নামে ওই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শনিবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
জানা গিয়েছে, সপ্তমীর দিন কাঁকিনাড়ার ১১ নম্বর গলিতে বাড়ির সামনে বসেছিলেন বীরেন্দ্র। হঠাৎ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার ওপর চড়াও হয় ও তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওইদিন রাতে তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে বীরেন্দ্রকে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বলা হয়, হয়তো বিজেপি ছেড়ে দিতে হবে, নয়তো নাম লেখাতে হবে শাসকদলে। কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি। যদিও তৃণমূলের দাবি, ওই ব্যক্তি বেশিরভাগ সময়ই মদ্যপান করে থাকেন। পারিবারিক কিছু সমস্যাও ছিল তাঁর। এখানে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
মৃতের আত্মীয় সন্তোষ সাউয়ের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বীরেন্দ্র সাউকে বোমাবাজির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেও জেলে থাকা অন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করে। কয়েকদিন পর তাঁকে জেল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সপ্তমীর দিন রাতে বাড়ির সামনে তাঁর ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। পিস্তলের বাঁট দিতে বেপরোয়াভাবে মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় আমরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি। শনিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
একই অভিযোগ তুলেছেন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ছেলে ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা পবনকুমার সিং। সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, ভাটপাড়ার তৃণমূল আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যামের দাবি, ‘রাজ্যে কারও মৃত্যু হলেই এখন মৃত ব্যক্তিকে তাদের কর্মী বলে দাবি করছে বিজেপি। যিনি মারা গিয়েছেন তিনি আসলে সমাজবিরোধী। থানায় তাঁর নামে অনেক মামলা রয়েছে। দুষ্কৃতীদের মধ্যে ঝামেলায় এখানে রাজনৈতিক রঙ লাগাচ্ছে বিজেপি।’