একের পর এক ইলিশ ভর্তি ট্রলার আসছে দিঘার মোহনায়। তার মধ্য়েই ইলিশ ভর্তি ট্রলারে বড় দুর্ঘটনা। ইলিশ মাছ ভর্তি ট্রলার ডুবে গেল বঙ্গোপসাগরে। এদিকে ওই ট্রলারে ১৭জন মৎস্যজীবীও ছিলেন। তবে কাছেই অপর একটি ট্রলার ছিল। ডুবন্ত ট্রলার থেকে মৎস্যজীবীরা কোনওরকমে পাশের ট্রলারে উঠে পড়েন। তবে ইলিশ ভর্তি ট্রলারটি ডুবে যায় সমুদ্রে। উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যায়।
ওই ট্রলারের নাম এফবি অনীক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর থেকে ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিল ওই ট্রলারটি। তাতে ১৭জন মৎস্যজীবী ছিলেন। আচমকাই উত্তাল সমুদ্রে ডুবতে শুরু করে ট্রলারটি।
সূত্রের খবর, আসলে ট্রলারের নীচে ফুটো হয়ে গিয়েছিল। সেখান দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। এরপর ক্রমে ডুবতে শুরু করে ট্রলারটি। তবে সৌভাগ্যবশত ওই ট্রলারের কাছে অপর একটি ফিশিং বোট ছিল। অপর ট্রলারটি ডুবে যাচ্ছে এটা বুঝতে পেরেই দ্রুত অন্যান্য মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে অপর ট্রলারে তোলা হয়। তবে আপাতত ওই মৎস্যজীবীরা নিরাপদেই রয়েছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, এখন ইলিশের মরসুম। নতুন আশায় বুক বেঁধে উত্তাল সমুদ্রে ট্রলার ভাসাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। পদে পদে বিপদের হাতছানি। তবুও এই সময়টাই তো মাছ ধরার সময়। ইলিশ ধরার সময়। সেই ইলিশ ধরার জন্য বেরিয়ে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা। তবে সুন্দরবনের বাঘেরচর থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে ডুবে যেতে শুরু করে ওই ট্রলারটি। উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে পড়ে যায় ট্রলারটি। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে দেন মৎস্যজীবীরা। এরপরই এফবি অপরাজিতা নামে অপর একটি ট্রলার দ্রুত সেখানে চলে যায়। এরপর সেখানে মৎস্যজীবীদের তোলা হয়। সূ্ত্রের খবর, সব মিলিয়ে পাঁচটি বোটকে উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ইলিশ ভর্তি ছিল ওই ট্রলারে। বেশ খুশি মনেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফিরে আসছিল ওই ট্রলারটি। কিন্তু সমুদ্রেই সব শেষ হয়ে গেল। প্রচুর টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।