নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছেলেকে জিজ্ঞাসার জন্য পাঠিয়েছিল পরিবার। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসার পরিবর্তে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল ছেলেকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া ৫ নম্বর যতীন দাস নগর এলাকার একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নেই এলাকা। যুবকের পরিবারের সদস্যরা নেশা মুক্তি কেন্দ্র ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুমন সর্দার (২২)। বাড়ি বাগুইআটির কেষ্টপুরে। গত বৃহস্পতিবার তাকে ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যের জানানো হয়েছিল ৪৫ দিন পর পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। ছেলেকে সেখানে ভর্তি করার পর নিশ্চিন্তে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। আজ সকালে পরিবারের লোকেদের ওই যুবকের মৃত্যুর খবর জানানো হয় নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে। মৃত যুবকের মামা অভিজিৎ বিশ্বাস জানান, ‘আমরা ভাগ্নের শারীরিক অবস্থার কথা শুনে দ্রুত এখানে আসি। কিন্তু, চিকিৎসক আমাদের এক ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রাখে। তখনও অবধি বেঁচেছিল আমার ভাগ্নে। একঘণ্টা পরে চিকিৎসক জানান সুমন মারা গিয়েছে।’
তার অভিযোগ, সুমনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একইসঙ্গে ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের চিকিৎসককে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের সদস্যরা নেশামুক্তি কেন্দ্র ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। এই ঘটনায় নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত যুবকের পরিবার।