মাইথনে স্নান করতে গিয়েছিল কিশোর। সঙ্গে ছিল তার বন্ধুরা। কিন্তু অমর ঝর্ণায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ছয় বন্ধু। তবে বাকি পাঁচজন ভাগ্যের জোরে রক্ষা পেলেও প্রাণ গিয়েছে একজনের। আর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের গোপালপুরের বাসিন্দা ছয় বন্ধু শুক্রবার মাইথনের অমর ঝর্ণায় স্নান করতে নেমেছিল। জলে নামার পরে তলিয়ে যায় গোপালপুরের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সের শুভঙ্কর দত্ত।
এদিকে গোপালপুরের বাসিন্দা ছয় বন্ধু মাইথনে বেড়াতে এসে বিপদে পড়ে। সোনু রায় নামে এক যুবক জানান, মাইথন বেড়াতে এসেছিল এই ৬ জন। অমর ঝর্ণায় স্নান করতে নেমে পা পিছলে যায় শুভঙ্কর দত্ত, ধ্রুবজ্যোতি নামে দু’জনের। গভীর জলে তলিয়ে যায় তারা। একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও প্রথমে আর একজনকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে দু’জনকে সালানপুর থানার কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। আর একজনের চিকিৎসা চলছে বলে খবর।
অন্যদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশির ব্যবস্থা করে। বিপজ্জনক ওই ঝরনার জলে নৌকা নিয়ে তল্লাশি করা হয়। পরে শুভঙ্করকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটলেও এই ঝর্ণায় প্রচুর মানুষের সমাগম কেন হচ্ছে? প্রশাসনের পক্ষ সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কোনও ব্যবস্থা কেন নেই? এসব প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিয়ের প্রি–ওয়েডিং শুটিং থেকে শুরু করে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে মাইথনের এই বিপজ্জনক অমর ঝরনা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের থেকেও কোনও সতর্কতার ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই একের পর এক ঘটনা ঘটছে। বেড়াতে এসে এক বন্ধুর প্রাণহানির ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ৬ বন্ধুর পরিবারে এখন হাহাকার নেমে এসেছে। কান্নার রোল উঠেছে মৃত কিশোরের বাড়িতে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup