রাতভর পরিত্যক্ত খনিতে পড়ে থাকল মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ। রাতের অন্ধকারেই চলল উদ্ধারকার্য। অবশেষে তাকে পরিত্যক্ত খনি থেকে উদ্ধার করতে পেরেছে মাইনস রেসকিউ টিম। খনিতে বিষাক্ত গ্যাস ভর্তি থাকার পরেও পুরোপুরিভাবে সুস্থ রয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণ মুহাম্মদ জাফর। যা রীতিমতো অবাক করেছে রেসকিউ টিম, পুলিশ এবং দমকলকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় আসানসোলের জামুড়িয়ার শ্রীপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর ১৭-র ওই তরুণ ছোটবেলা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন। জাফর তিনপটিয়ার বাসিন্দা। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে সে এদিক-ওদিক উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়ায়। ঘটনার দিন সেই সময় কোনওভাবে ইসিএলের পরিত্যক্ত ওই খনিতে পড়ে যায় জাফর। বিষয়টি এলাকাবাসীদের নজরে আসলে তারা নিজেরাই প্রথমে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু, সক্ষম না হওয়ায় তারা খবর দেন দমকল এবং পুলিশে। খবর পাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছে যায় দমকল এবং পুলিশ। সেইসঙ্গে পৌঁছায় মাইনস রেসকিউ টিম। তারা রাতভর জাফরকে খনি থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। শেষমেষ ভোরবেলায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় মাইনস রেসকিউ টিম।
তবে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলকে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘটনাটি ঘটায় পর্যাপ্ত আলোর অভাবে জাফরকে দেখতে পাচ্ছিলেন না উদ্ধারকারীরা। অনেক ডাকাডাকি পর তার সাড়া মেলায় উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েন উদ্ধারকারীরা।
স্থানীয়দের তৎপরতায় সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়। এরপর রাতভর চালানো হয় উদ্ধার কার্য। তবে এভাবে জীবিত অবস্থায় জাফর ফিরে আসায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। অনেকে মনে করছেন তার পুনর্জন্ম হয়েছে। যদিও এই ঘটনার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকদিন ধরে বন্ধ থাকার পরেও পরিত্যক্ত খনি কেন ঘিরে দেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।