আবার আসানসোলে ব্যবসায়ী খুনের অভিযোগ। গাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল ওই ব্যবসায়ীর দেহ। জামুরিয়া থানার অন্তর্গত ২ নম্বর জাতীয় সড়কের চাঁদা মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে একটি স্করপিও গাড়ির চালকের আসনে রক্তে ভেজা এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা গোটা এলাকায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ব্যবসায়ী একটি স্করপিও গাড়িতে এসেছিল। আর মৃত ব্যবসায়ীর মাথার ডান পাশে কানের সামনে গুলি করার চিহ্ন রয়েছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে গুলি করে খুন করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল উদ্ধার করেছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। আসানসোলের চাঁদা মোড়ের কাছে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল একটি গাড়ি। আর সেই স্করপিও গাড়ির ভিতর থেকে আজ, শনিবার রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দেহটি। তারপর আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে ভরদুপুরে ওই ব্যবসায়ীকে গাড়ির ভিতরে খুন করা হল সেটা খতিয়ে দেখছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
আর কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? মৃত এই ব্যবসায়ীর নাম মিলা বৃশ্চিক। রানীসাইরের বাসিন্দা এই ব্যবসায়ী। জমি লেনদেনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই শত্রু তৈরি হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যবসা সংক্রান্ত কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। শীর্ষ পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং তদন্ত করছেন। খুনের পর দেহ গাড়িতে রেখে দিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার নেপথ্যে সুপারি কিলার আছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ এই খুন পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? কয়েকদিন আগে এক ট্রাকচালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগে ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় কয়লা মাফিয়া রাজেশ ওরফে রাজু ঝা–কে। ল্যাংচা হাবের সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। তার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মাঝ রাস্তায় গাড়ির ভিতরেই শার্প শুটাররা মিলে খুন করে রাজুকে। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার মধ্যেই আজ, শনিবার আবার এক ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ দেহ সামনে এল। সব মিলিয়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।