দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানা থেকে একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব। সেখানেই ভয়াবহ কাণ্ড। দিন দুয়েক ধরে মৃত দিদিমার দেহ আঁকড়ে বসেছিল নাবালিকা নাতনি। কার্যত কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাতনিকে নিয়ে একলাই থাকতেন বৃদ্ধা স্মৃতি ঝাঁ। স্মৃতি ঝাঁয়ের স্বামী অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছিলেন।
একমাত্র ছেলেও নিখোঁজ। মেয়ে, জামাইও মারা গিয়েছেন। অগত্যা নাতনিকেই বুকে আগলে রাখতেন তিনি। সেই নাতনিও কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।
এর ওর কাছ থেকে চেয়েচিন্তে সংসার চলত তাঁদের। তবে ওই বৃদ্ধা কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা তাদের সহায়তা করতেন মাঝেমধ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। টিনের চালার ছোট ঘরটি থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল।
এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তবে নাতনি রানীকেও কয়েকদিন দেখা যায়নি। এরপর ভেতরে গিয়ে বাসিন্দারা যা দেখেন তাতে তাঁদের চোখ কপালে ওঠে। বৃদ্ধার দেহ পড়ে রয়েছে। দুর্গন্ধ বের হয়ে গিয়েছে। তার পাশেই বসে রয়েছে নাতনি। দিন দুয়েক ধরে কিছু খায়নি সে। সম্ভবত মঙ্গলবার বিকালের পরে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।কিন্তু নাতনি আর বাইরে এব্যাপারে কিছু বলেনি।
স্থানীয় ক্লাবের তরফে ওই নাতনির খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তবে এবার ওই নাবালিকার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে। তাকে হোমে রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন।