শিশুটির মায়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এক যুবকের। বাড়িতে স্বামী না থাকাকালীন সে আসত এবং সহবাস করত বলেই অভিযোগ। স্বামী ফেরার আগে সেই প্রেমিক বাড়ি থেকে চম্পট দিত। এভাবেই দিনের পর দিন কাটছিল। তাল কাটল একদিন। তার জেরে মায়ের পরকীয়া সম্পর্কের দাম দিতে হল একরত্তিকে। কারণ তাকে ওই মহিলার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। আর তাতেই উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আমডাঙার গজবন্দ এলাকার বাসিন্দা সাবিনার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বাবুর। এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্বামী জানতে পারায় সংসারে অশান্তি পর্যন্ত হয়েছিল। তখন কিছুদিন বাবুর এই বাড়িতে আনাগোনা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবার যাতায়াত শুরু হয়। ঠিক দুপুর হলেই লুকিয়ে এই বাড়িতে ঢুকে পড়ত বাবু। তারপর বিকেল হতেই চলে যেত।
জানা গিয়েছে, এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন শিশুটির মা সাবিনা। সোমবার সকালে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে। সাবিনার প্রেমিক বাবু কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ওই একরত্তিকে সঙ্গে করে চম্পট দেয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও নিখোঁজ শিশুটির কোনও সন্ধান মেলেনি। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান পুকুরের জলে ভাসছে একরত্তি শিশুটি। তখন তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটির দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ওই শিশুটির মা অভিযুক্ত সাবিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আর বাবুর খোঁজে আমডাঙা থানার পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। শিশুটির জন্য পরকীয়া সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল বলেই তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয় বাবু। এই শিশুর নিখোঁজের খবর চাউর করে দিয়ে বাবুর হাতধরে পালিয়ে যাওয়ার ছক ছিল সাবিনার বলে মনে করছে পুলিশ।