স্ত্রীও তার সঙ্গে জড়িত এই পুরো বিষয়টিতে। এমনটাই জানালেন কালিয়াচকে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেই। জানা গিয়েছে, চিনা ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীর নাম আগে থেকেই গোয়েন্দাদের ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে লখনউ এসটিএফ এক চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল। ধৃত সেই ব্যক্তি হান জুনেই-এর বন্ধু। তখন থেকেই লখনউ এসটিএফের খাতায় ওয়ান্টেড ছিল জুনেই ও তার স্ত্রী।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ওই ব্যক্তি ভারতে প্রবেশ করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই ব্যক্তির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, বড় কোনও অভিসন্ধি নিয়ে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন ওই নাগরিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, চিনের হুবেই প্রদেশের এই বাসিন্দার নাম হান জুনেই। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বিএসএফের জওয়ানদের সন্দেহ হয়। এরপর তাকে কালিয়াচক পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বাংলাদেশ ও নেপালের ভিসা পাওয়া গিয়েছে।কিন্তু ভারতে আসার বৈধ কাগজপত্র তাঁর কাছে ছিল না। জানা গিয়েছে, ভারতে আসার আগে চিনা এই নাগরিক তাঁর এক সঙ্গীর সঙ্গে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ এলাকায় থাকত। তার আগে ঢাকাতেও কিছুদিন ছিল সে। এখনও পর্যন্ত মহদিপুর ক্যাম্পে চিনা ওই নাগরিককে টানা জেরা করে চলেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও আরও অনেক নথি পাওয়া গিয়েছে, যা দেখে গোয়ান্দারা তাঁকে চিনা গুপ্তচর বলেই সন্দেহ করছেন।
এখন পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানা গিয়েছে, এর আগেও বেশ কয়েকবার ভারতে এসেছিলেন হান। কখনও দিল্লি, কখনও গুরুগ্রাম আবার কথনও হায়দরাবাদে ছিল সে। কখনও তার স্ত্রী ও আবার কখনও বন্ধুকে নিয়ে ভারতে ঘুরে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ঘোরাঘুরি করেছে সে।