হোটেলের ঘর থেকে যুবক–যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। আজ, শুক্রবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়াল তারকেশ্বরের মন্দির রোড এলাকায়। স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিল প্রেমিক যুগল। তারপর সেই হোটেলের ঘর থেকেই মিলল যুবক–যুবতীর ঝুলন্ত দেহ। আজ তাদের হোটেল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটল আত্মহত্যার ঘটনা।
ঠিক কী ঘটেছে তারকেশ্বরে? পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনেরই বাড়ি বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য তারকেশ্বর আসেন পূজা হাজরা এবং বাপন ঘোষ নামের দুই যুবক–যুবতী। এখানের হোটেলে স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নেয় তারা। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে হোটেল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।
তারপর কী ঘটল হোটেলে? হোটেল সূত্রে খবর, আজ সকাল ৯টা নাগাদ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় হোটেলের কর্মীদের। তাদের বিস্তর ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। তখন হোটেল মালিক স্থানীয় থানায় খবর দেয়। পুলিশ কর্মীরা এসে হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। তারপর দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তারকেশ্বরের মন্দির রোড এলাকায় অবস্থিত হোটেলটি। কী কারণে এই আত্মহত্যা? তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই দু’জনের প্রেম ছিল দীর্ধদিনের। কিন্তু পরিবার মেনে না নেওয়ায় তারকেশ্বরে এসে পুজো দিয়ে বিয়ে করেছিল তারা। আর্থিক টানাটানিও ছিল। তাই এই চরম সিদ্ধান্ত নিল প্রেমিক যুগল বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।