গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে প্রবল স্রোতে গাড়ি সমেত জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অবশেষে সেই গাড়ির চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে গাড়িটি ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই সময়ই সেটি সেতু থেকে ক্রমশ খালের দিকে যেতে থাকে। পেছন থেকে অনেকেই চালককে সতর্ক করেন। কিন্তু তিনি আর গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। আসানসোলের কল্যাণপুর হাউসিং এলাকার ঘটনা।
ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু রাতে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাড়িটি ঘোরাতে গিয়েছিলেন চালক। সেই সময় গাড়িটি প্রবল স্রোতে সেতু থেকে ক্রমেই খালের দিকে যেতে থাকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বার বার বারণ করা হল। তা সত্ত্বেও এখান দিয়ে যেতে গেল। গাড়িটি ঘোরানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু পারল না। গাড়ির ভেতর কেবলমাত্র চালককে দেখেছি। আর কেউ ছিল না। আমরা চিৎকার করলাম। কিন্তু কিছুতেই শুনল না। অপর এক ব্যক্তি বলেন, পেছন থেকে সবাই তাকে চিৎকার করল। বারণ করল। কিন্তু তিনি শুনলেন না। গাড়িটি ঘোরানো চেষ্টা করছিল। কিন্তু তাতে আরও মুশকিল হয়ে গেল। গাড়িটি এরপর খালে গিয়ে পড়ে যায়। একটু বেশি ঝুঁকি নিতে গিয়েছিলেন তাতেই এই ঘটনা হয়ে গেল।
এদিকে শনিবার ওই চালকের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের নাম চঞ্চল বিশ্বাস। তিনি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। এনডিআরএফ গাড়িটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়রা বলেন, চালক যদি সকলের কথা শুনতেন তবে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।
এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে অন্ডাল বিমানবন্দরের বিমান পরিষেবাও ব্যহত হচ্ছে। একেবারে টানা বৃষ্টি। তার জেরে অন্ডাল বিমানবন্দরের বিভিন্ন অংশে জল জমে যায়। সেই জমা জল পেরিয়ে রানওয়েতে বিমান চালানো সম্ভব নয়। সেকারণে অন্ডাল বিমানবন্দরে একের পর এক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল। বেঙ্গালুরু, দিল্লি, হায়দরাবাদ সহ অন্ডাল থেকে একাধিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর। সেই বিমানবন্দরে টানা বৃষ্টির জেরে জল জমে যায়। এমনকী রানওয়ের একাংশেও জল জমে যায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জল জমকে থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে দেখা যায় কার্যত ভাসছে বিমানবন্দর ও সংলগ্ন এলাকাগুলি। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে যে রাস্তাটি বিমানবন্দরের দিকে গিয়েছে সেই রাস্তাও জলে ভেসে যায়। বিমানবন্দরের চেকিং কাউন্টার, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। এরপরই বিমান পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো যাত্রীদের এনিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়।