স্ট্যাম্প পেপারে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হলেন এক ক্ষেতমজুর। সুইসাইড নোটে স্ত্রী, দুই পুলিশ অধিকারিক সহ মোট চারজনকে দায়ী করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার আশ্রমপাড়ার। গতকাল গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই ক্ষেতমজুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম শরৎ সিংহ (৪২)।
পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শরতের এক সন্তান রয়েছে। তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। তবে সপ্তাহ তিনেক আগেই তার স্ত্রী বাড়িতে কিছু না বলেই অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় স্ত্রী এবং সন্তানের খোজ করেন শরৎ। কোথাও খুঁজে পাননি। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেই অবসাদ থেকেই গতকাল ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, গতকাল বিকেলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। তারপর আর তিনি ঘরের বাইরে বের হননি। দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও কোনও শব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে তার গলায় ফাঁস লাগানো দেহ দেখতে পান।
আত্মহত্যার আগে তিনি পঞ্চাশ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির পক্ষের এক আত্মীয় এবং পুলিশ আধিকারিকের নাম করেছেন। সেখানে কালনা থানার বড়বাবু এবং মেজোবাবুর নাম রয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন সে বিষয়ে সুইসাইড নোটে কিছু লেখা নেই। ফলে এ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। সেক্ষেত্রে কি পরকীয়া, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে! কেনই বা পুলিশ আধিকারিকদের দায়ী করা হল? সে বিষয়টিও নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ। তার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে। মৃতের ভাইপো রঞ্জন সিংহের দাবি, ‘কাকিমা চলে যাওয়ার পর থেকে কাকা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।’ তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই খেত মজুর আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা স্পষ্ট হবে। তবে কী কারণে আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।