রাতের অন্ধকারে গাছ কাটা হতো। তারপর তা বিক্রি করে টাকা নিয়ে নেওয়া হতো। বেআইনি এই কাজ করার অভিযোগ উঠল খোদ বনকর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মেদিনীপুর শহর লাগোয়া ইস্ত্রিগঞ্জ এলাকায়। সেই বনকর্মী ধরা পড়েছেন। তবে এখনও তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।
ঠিক কী ঘটেছে মেদিনীপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে বনের মূল্যবান গাছ কেটে ফেলতেন বনকর্মী শম্ভু দাস। তারপর তা বিক্রির ব্যবস্থাও তিনি করতেন। সেখান থেকে আসত মোটা টাকা। কিন্তু এই বেআইনি কাজ দীর্ঘস্থায়ী হল না। রাতে যাঁকে এই বনের পাহাড়ায় রাখা হয়েছিল সেই এই কাজ করল বলে অভিযোগ উঠেছে।
কেমন করে ধরা পড়ল ঘটনাটি? এই বনের নৈশপ্রহরী হিসাবে কাজ করতেন শম্ভু দাস। তিনিই বনের সম্পদ রক্ষা করার পরিবর্তে রাতের অন্ধকারে লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে দিত বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই বেআইনি কাজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার। তাঁর হস্তক্ষেপে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
কী বলছেন অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী? এই ঘটনার কথা বন দফতরকে জানানো হয়েছে। তাঁরা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন। তবে দোষের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত শম্ভু দাস। তিনি বলেন, ‘ভুল হয়ে গিয়েছে। আর কখনও এমন কাজ করব না।’ বন দফতরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার।