আবার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী যুবক ও তার বন্ধুরা গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ সন্তান নিয়ে একাই থাকতেন। প্রতিবেশী যুবকের কাছে সেই খবর ছিল। অনেকদিন ধরেই সে সুযোগ খুঁজছিল। এবার প্রতিবেশী যুবক নিজের বন্ধুকে নিয়ে ওই বাড়ির ছাদ দিয়ে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লাগাতার গণধর্ষণ করা হয় গৃহবধূকে। ওই যুবক ও তার বন্ধু মিলে সারারাত ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তাতে কাহিল হয়ে পড়ে গৃহবধূ। তখন একই ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তারা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের লালগোলায়।
পুলিশের কাছে দেওয়া গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, ১১ দিন আগে প্রতিবেশী যুবক মিঠুন শেখ ও কালু শেখ ছাদ দিয়ে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। গৃহবধূর ঘরে ঢুকে মিঠুন শেখ ভয় দেখায় সন্তানকে খুন করে ফেলা হবে কথা না শুনলে। তখন কালু শেখ গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। তারপর কালু অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখালে মিঠুন উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। সারারাত তারা এই যৌন নির্যাতন চালায়। আর এই ঘটনা কাউকে জানালে তাঁর সন্তান ও স্বামীকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে চলে যায়। আবারও গৃহবধূকে অভিযুক্ত কালু শেখ ও মিঠুন শেখ হুমকি দেয়।
এখানেই অত্যাচারের শেষ হয়নি। প্রতিবেশী যুবক মিঠুন শেখের পারিবারিক অনুষ্ঠানে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই গৃহবধূকে। তখন স্ত্রীকে ফোন করে পাননি স্বামী। তিনি তখন তাঁর বন্ধুদের ফোনে করে খবর নিতে বলেন। বন্ধুরা খবর নিয়ে জানায়, মিঠুন জোর করে তাঁর স্ত্রীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছে। তখন স্বামী তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন। স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। তখন অভিযুক্ত মিঠুন তাঁকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। স্বামীকে বিস্তারিত খবর জানিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবার লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালগোলা থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মিঠুন ও কালুকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।