পশ্চিম মেদিনীপুরে আবারও দাঁতালের তাণ্ডব। রাতভর হাতির তাণ্ডবের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হল বিঘার পর বিঘা জমির ফসল, ভাঙচুর হল ঘরবাড়ি, এছাড়াও হাতির হানায় মৃত্যু হল ৩টি গবাদি পশুর। আহত আরও ৪টি। বৃহস্পতিবার রাতভর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার খড়কাটা এলাকায় এভাবেই তাণ্ডব চালাল হাতির দল। এই ঘটনায় বনদফতরের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ না করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ২৫ থেকে ৩০ টি হাতির একটি বড় দল তাণ্ডব চালায়। এই তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকশো বিঘা জমির ফসল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বনদফতরকে ফোন করে খবর দেন। কিন্তু, রাত পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বনদফতরের পক্ষ থেকে কোনও কর্মী সেখানে আসেননি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা নিজেরা বাজি ফাটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তারপরেও হাতির দলকে বাগে আনা যায়নি। ফলে রাতভর আতঙ্কে কাটাতে হয়েছে স্থানীয়দের। গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা নিমাই মণ্ডলের কথায়, ‘হাতির তাণ্ডবে আমার ঘর ভেঙে গিয়েছে এবং দুটো গরুর মৃত্যু হয়েছে। বাকি যে সমস্ত গরু ছিল সেগুলিও পালিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, আমার জমির ফসলও নষ্ট হয়েছে। তাই আমি বনদফতরের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয়দের পাশাপাশি, ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক নম্বর অঞ্চলের প্রধান হরিদাস। তিনি বলেন, ‘বনদফতরের পক্ষ থেকে আমরা কোনওরকমের সাহায্য পায়নি। আমরা বিডিও, জেলাশাসক থেকে শুরু করে সব জায়গায় অভিযোগ জানাব।’ তিনি বলেন, ‘এমনিতেই সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা চরম সমস্যায় রয়েছেন। তার ওপর হাতির দল সব শেষ করে দিয়েছে। আমরা ক্ষতিপূরণের জন্য আর্জি জানাব।’ তিনি জানান, এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই হাতির তাণ্ডব চলে। তা সত্ত্বেও বনদফতরের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।