মাটি কেটে সমতল কাজ করার কাজ করছিলেন গ্রামবাসীরা। আচমকা মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমানে বন্দুক ও কার্তুজ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ে। কিন্তু এত বন্দুক আর কার্তুজ কোথা থেকে এল, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে গোয়ালতোড়ের বড়ডাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় মানুষরাই মাটি কেটে সমতল করার কাজ করছিল। হঠাৎ এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান, মাটির তলায় প্রচুর বন্দুক আর কার্তুজ চাপা পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় সাউকে খবর দেওয়া হয়। তিনি গোয়ালতোড় থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে প্রায় ৫০–৬০টি দোনালা বন্দুক বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় হাজার খানেক কার্তুজও। কীভাবে এই সব আগ্নেয়াস্ত্র এসে পৌঁছোল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান অজয় সাউ জানান, ‘বিগত দিনে সিপিএমের যে হার্মাদ বাহিনী ছিল, তাঁদেরই কাজ এটা সম্ভবত। ২০১১ সালের বিভিন্ন জায়গায় সিপিএমের যে ক্যাম্প ছিল ওদের এই সব অস্ত্রশস্ত্র।’ তবে এটা মাওবাদীদের কাজ নয় বলেই মনে করেন পঞ্চায়েত প্রধান। তবে এই বিষয়ে গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গৌতম কৌড়ি জানান, ‘এই এলাকায় মাওবাদী আর হার্মাদ দুই দলেরই উপদ্রব ছিল। এর সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। তখনকার হার্মাদ তো এখন সব তৃণমূলের সঙ্গে মিশে গেছে। রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। এনআইএ তদন্ত হলেই এই বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।’