আজ, শনিবার এক শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল কারখানার শৌচাগার থেকে। এই ঘটনায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শনিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে দুর্গাপুরের ইন্ডিয়ান অয়েল বটলিং প্ল্যান্টে। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে কোকওভেন থানার পুলিশ। কারণ ক্ষতিপূরণের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা।
ঠিক কী ঘটেছে দুর্গাপুরে? স্থানীয় সূত্রের খবর, শ্যামপুরের বাসিন্দা কাঞ্চন রায় (৫৮)। তিনি এই কারখানার হ্যান্ডেলিং বিভাগের সুপারভাইজার ছিলেন। শুক্রবার ডিউটি করে বাড়ি ফেরেননি তিনি। রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ির লোকজন কারখানায় ফোন করেন। তখন কারখানায় তাঁকে খোঁজা হয়। কিন্তু কোথাও তাঁর দেখা মেলেনি। পরে শনিবার সকালে কারখানার একটি শৌচাগারে কাঞ্চনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান শ্রমিকরা।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কাঞ্চন রায় (৫৮)। তিনি শ্যামপুরের বাসিন্দা। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এটা আত্মহত্যা না খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিফট শেষ হলেও কেন তিনি বাড়ি ফিরলেন না? বাড়ি ফিরবেন না সে কথা পরিবারকে কেন জানালেন না? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী দাবি শ্রমিকদের? এই ঘটনার পর পুলিশ দেহ নিতে গেলে শুরু হয় ঝামেলা। শ্রমিকদের একাংশ দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সেই আশ্বাস পেলে দেহ ছাড়ে শ্রমিকরা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।