মোবাইল গেম–সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি ছিল ছেলের। আর সেই আসক্তি ছাড়িয়ে পড়োশোনা মনোনিবেশ করাতে চেয়েছিলেন মা–বাবা। তাই রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। আর সেটাই কাল হয়ে উঠল তার জীবনে। কারণ সেখানেই ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যমৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। রিহ্যাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম ময়ূখ গুহ (১৬)। ময়নাগুড়ি ফার্ম শহিদগড় পাড়ার ছাত্র সে। ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ময়ূখের। কিন্তু এখানে তার মৃতদেহ মিলেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটা খুন না আত্মহত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এদিন পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়েছে, তিন মাস ধরে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ময়ূখ। দিনের বেশিরভাগ সময়ই মোবাইলেই কাটত তার। কিন্তু সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার একটি রিহ্যাবে ভর্তি করা হয় ময়ূখকে। যাতে এখানে থেকে আসক্তি কেটে যায়। আর পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে। এখানে প্রায়ই পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন।
তাহলে হঠাৎ কী হল? জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ময়ূখকে দেখতে রিহ্যাবে আসেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না। তখন ঘরে গিয়ে দেখেন ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তখনই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হোম চত্বরে। পরিবারের অভিযোগ, ময়ূখ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সেটা পরিবারকে জানানো হয়নি। ময়ূখের মায়ের দাবি, রিহ্যাব সেন্টারের গাফিলতিতেই তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে।