গোপাল পুজোর চাঁদা নেওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড! রক্ত ঝরল নদিয়ার শান্তিপুরে। এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ বসানোর অভিযোগ উঠল। পাশাপাশি একটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। রবিবার রাতে দোলের শোভাযাত্রার কয়েক মুহূর্ত আগেই ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের সুত্রাগড় কৃষ্ণ কালিতলাস্ট্রিট সাহাপাড়ায় । ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম গৌতম ইন্দ্র। তাঁর মাথায় ৮টি সেলাই পড়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন USA, বড় মন্তব্য তুলসির)
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে এবার সিএজি রিপোর্ট তলব, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
গৌতম ইন্দ্র স্থানীয় বাসিন্দা রাজা চক্রবর্তী এবং তার বন্ধু সাহেব ও রাজার বাবা দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওই তিনজন গোপাল পুজোর চাঁদা চাইতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। কিন্তু, তাঁর কাছে ৫০০ টাকার নোট খুচরো ছিল না। তাই ইন্দ্রবাবু তাঁদের জানান, সন্ধ্যা বেলায় ১০০ টাকা দেবেন। অভিযোগ, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্তরা তাঁর বাড়িতে রাম দা নিয়ে এসে হাজির হয়। তাঁকে অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এরপরেই তারা ইন্দ্র বাবুর মাথায় ওই ধারালো দা দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয়। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় ইন্দ্র বাবুকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মাথায় আটটি সেলাই পড়ে। প্রতিবেশীরা তাঁকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু, ভয়ে কেউ থানায় যেতে পারেননি। পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দেবাশিসকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইন্দ্র বাবুর পরিবার। (আরও পড়ুন: মমতার অক্সফোর্ডে যাওয়া নিয়ে 'জলঘোলা', মুখ খুলে পালটা আক্রমণ তৃণমূলের)
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে নিহত নিষিদ্ধ লস্কর-ই-ইসলাম প্রতিষ্ঠাতা, যেন ‘দুঃখে ভাসছে’ খাইবার সরকার
অন্যদিকে, অভিযুক্ত দেবাশিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পালটা তার দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ, তাদের খাবারের দোকান রয়েছে। সেই দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। দোলের শোভাযাত্রার জন্য কিছু অগ্রিম অর্ডার ধরা ছিল। তাই শোভাযাত্রা মিটে গেলে তারাও থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। তবে এক্ষেত্রে দুপক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় থাকার অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।