পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ডুব দিয়েছিলেন পুকুরে। আর তাতেই মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এমনই অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুর থানা এলাকার ভাষা চোদ্দো নম্বর গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে শেখ সুরজ নামে ওই ব্যক্তির। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সুরজের মৃতদেহ ফেলে রেখে টায়ার এবং গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছরখানেক আগে এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতেন শেখ সুরজ। তবে মাদকের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে তিনি নিজে মাদক সেবন করতেন। সেইসঙ্গে চুরি করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই কারণেই শুক্রবার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ তাঁকে ধরার জন্য সেখানে হানা দেয়। অন্যদিকে, স্থানীয়দের দাবি, সুরজ আগে মাদকের ব্যবসা করলেও এখন তিনি শুধু মাদক সেবন করেন। অন্যান্য কোনও ধরনের অসামাজিক কাজ করেন না।
এদিন পুলিশ তাকে ধরতে গেলে প্রথমে পুলিশের নাগালে চলে আসে। কিন্তু কোনওভাবে পুলিশের জাল থেকে পালাতে সক্ষম হয়। এরপরে পুলিশের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে এলাকার পরিত্যক্ত একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয় সুরজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সুরজ সাঁতার জানত না। পুলিশকে তারা সে বিষয়টি জানায়। কিন্তু, তারপরেও পুকুর থেকে তাঁকে উদ্ধারের জন্য কোন তৎপরতা দেখায়নি পুলিশ। সেই কারণেই সুরজের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা সুরজের পরিবারকে খবর দিলে তারা মেশিনের সাহায্যে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় জল কমিয়ে সুরজের দেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, 'একটা মানুষ জলে ডুবে মরে যাচ্ছে। তারপরেও তাঁকে তোলার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ওরা লোকটাকে মেরে ফেলেছে। এত ঘটনা ঘটছে তার পরেও পুলিশের কোনও সাজা হয় না।' তাঁদের আরও অভিযোগ, বর্তমানে এলাকায় চোলাই, গাঁজা প্রভৃতি মাদক বেড়েই চলেছে। সে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।