ভোট-পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপি কর্মী প্রদীপ সরকার। তাতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এবার এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়ে এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। ওই যুবকের নাম প্রসেনজিৎ দাস। তিনি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। সিবিআইয়ের এমন আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় ডেপুটেশন দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের নামে যেভাবে মারধর করছে তাতে তারা আতঙ্কে রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ দাস শান্তিপুর থানার প্রমোদপল্লী এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান সিবিআইয়ের ৩ অফিসার। সেই সময় ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার দাদা যেতে চাইলে সিবিআইয়ের অফিসাররা তাতে আপত্তি জানায়। সিবিআই অফিসাররা প্রসেনজিতের দাদা মিঠুন দাসকে হরিণঘাটা থানা অপেক্ষা করতে করতে বলেন। অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হরিণঘাটা থানায় অপেক্ষা করার পরেও ভাই ফেরেনি দেখে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েনম এরপর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কল্যাণীর একটি ঠিকানায় সিবিআই অফিসারা তাকে যেতে বলেন। সেই মতো তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পান নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে প্রসেনজিতের। পরে একটি মুচলেকা নিয়ে সিবিআই তাকে ছেড়ে দেয়। হাবিবপুর ও ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসেনজিতের চিকিৎসা করিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যান দাদা মিঠুন।
তার অভিযোগ সিবিআই অফিসাররা তার ভাইকে মারধরের কথা প্রকাশ্যে না অনার জন্য হুমকি দিয়েছে। শান্তিপুর ব্লকের (বি) তৃণমূল সভাপতি কানাই দেবনাথের অভিযোগ, ‘আমরা সিবিআই তদন্তে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু কোনওরকম নোটিশ না করেই জিজ্ঞাসাবাদের নামে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করছে।’ এর পিছনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের হাত রয়েছে বলে তার অভিযোগ। অন্যদিকে, এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘সিবিআই নিজেদের মতো তদন্ত করছে। এতে বিজেপির কোনও হাত নেই। মারধরের অভিযোগ এনে তৃণমূল রাজনীতি করছে।’