বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা। আর তার জেরে বেধড়ক মারধর করা হয় এক যুবককে। মারধরের ফলে ভেঙ্গেছিল শরীরের চারটি হাড়। পুলিশের এই ‘অমানবিক’ রূপ প্রকাশ পেতেই উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। সেই ঘটনার জেরে বদলি করে দেওয়া হল অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মীকে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছিল মহেশতলা থানা এলাকায়।
বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা। আর তার জেরে বেধড়ক মারধর করা হলো এক যুবককে। মারধরের ফলে ভেঙ্গে গেলো শরীরের চারটি হাড়। ফের অমানবিক পুলিশ। এবার মারধর করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীকে। ঘটনার জেরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা থানা এলাকায়।
|#+|
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর রাতে রাস্তায় বাইক রেখে ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন আক্রান্ত সুমন্ত বেরা। কিন্তু যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় মহেশতলা থানার সাব ইন্সপেক্টর আবুল মারজান তাকে বাইক সরিয়ে নিতে বলেন। পুলিশের কথায় বাইক সড়িয়ে নিতে আপত্তি জানান ওই যুবক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ওই যুবকের বচসা বেঁধে যায়। এরপরে যুবকের ওপর চড়াও হন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। তিনি তাকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারধরের ফলে হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে যায় ওই যুবকের। জানা গিয়েছে, ওই যুবক স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুকান্ত বেরার ভাই।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সুকান্ত বেরা আলিপুর আদালতে একাধিক ধারায় সাব-ইন্সপেক্টর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। অন্যদিকে সাব-ইন্সপেক্টর আক্রান্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। যদিও ঘটনায় আক্রান্ত যুবককে জামিন দেয় আদালত। সঙ্গে তাকে চিকিৎসা করারও পরামর্শ দেন। যুবকের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শরীরের বেশ কিছু হাড় ভেঙে যাওয়ায় কয়েকদিন আগেই তার অপারেশন করা হয়েছে। এই ঘটনার পরে বিভাগীয় তদন্ত করে ওই পুলিশ কর্মীকে রামনগর থানায় বদলি করা হয়।