রেলের গাফিলতির জন্যই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ঠিকাকর্মীর। এমনটাই অভিযোগ উঠল নিউ গড়িয়া স্টেশনে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার নিউ গড়িয়া স্টেশনের প্লাটফর্মের শেডে কাজ করছিলেন কয়েকজন ঠিকাকর্মী। এই ঠিকাকর্মীদের মধ্যে আবদুল আলিম মোল্লাও ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আবদুল। আড়াই ঘণ্টা শেডের উপরই অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত রাত ৮টা নাগাদ রেল পুলিশ ও দমকল কর্মীরা এসে দেহ নামায়। দেহ নামিয়ে আনার পর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকরা আবদুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত ঠিকাকর্মী আবদুলের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে। বাড়িতে তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আবদুলের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, সকাল থেকেই শেডের উপর কাজ হয়েছিল। বৃষ্টিও পড়েছিল। সকালে কাজ করতে গিয়ে যন্ত্রাংশ ফেলে এসেছিল। সেটা নামিয়ে আনতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের মতে, যেখানে প্লাটফর্মের উপর কাজ হচ্ছিল, সেখানে বিদ্যুস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিলই। তাহলে কেন কর্মীদের জন্য সেফটি বেল্ড বা ইলেকট্রিক সেফটি গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়নি? অনেকেই রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও রেলের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।