নৃশংস ঘটনা! খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করছিল ৩ ও ৪ বছরের দুটি শিশু। তার শাস্তি দিতে দুই শিশুকে দেওয়ালে মাথা ঠুকে এবং গলা টিপে খুনের চেষ্টা করলেন পিসেমশাই। যারমধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। অন্যদিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ বছরের শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে। ঘটনাটি সোনারপুর থানা এলাকার বেনিয়া বৌ এলাকার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: ৬ মাসের শিশুকে নর্দমায় খুন করে প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর ছক মায়ের, হাড়হিম ঘটনা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম প্রসেনজিৎ মণ্ডল। বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই দুই শিশুকে পিসেমশাইয়ের হেফাজতে রেখে কাজে গিয়েছিলেন তাদের মা। রাতে খাবার না পেয়ে তারা কান্নাকাটি শুরু করে। তাতেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে যায় প্রসেনজিৎ। সেই ক্ষোভে প্রসেনজিৎ দুই শিশুর মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয়। এতে তারা আরও কান্নাকাটি শুরু করলে তাদের গলাটিপে ধরে অভিযুক্ত। শিশুদের মারধর করার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে আসে। তারা বাড়ির মালিক হান্নান মণ্ডলকে বিষয়টি জানায়। প্রথমে তারা দরজা খুলতে বললে প্রসেনজিৎ রাজি হননি। তারপর প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন।
সেখানে তারা দেখতে পান দুটি শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। তারাই প্রসেনজিতের হাত থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে। পরে সোনারপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে দুই শিশুকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনআরএস হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ শিশুদের মা সেখানে রেখে যাওয়ার পরে প্রায়ই তাদের মারধর করতেন প্রসেনজিৎ। শিশুরাও এর আগে মারধরের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি প্রতিবেশীরা। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকসুদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল প্রসেনজিৎ। ইতিমধ্যেই আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি ঘটনায় তদন্ত চলছে।’