কাজ না পাওয়ায় আত্মহত্যা করলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাওড়ার বঙ্কিন সেতু থেকে একেবারে রেললাইনের ওপর ঝাঁপ দেন ওই বক্তি। মৃতের নাম রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায় বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি ডোমজুড় এলাকায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, রাজেশ মুম্বইয়ে ছিলেন কর্মসূত্রে। স্বর্ণশিল্পের কারিগর ছিলেন। গত বছর দেশজুড়ে যখন লকডাউন ঘোষণা হয়, তখন মুম্বই থেকে চলে আসেন রাজেশ। তারপর এখানে এসে তেমন কাজ পাচ্ছিলেন না। এদিন দুপুরে হঠাৎ রেললাইনের ওপর রাজেশের দেহ পড়ে থাকতে দেখে রেল পুলিশ। তাঁর দেহ তল্লাশি করে আধার কার্ড পাওয়া যায়। সেই আধার কার্ডে ব্যক্তি নাম, ঠিকানা ও পরিচয় জানা যায়। জানা যায়, মৃত ব্যক্তি রাজেশ ডোমজুড়ের দফরপুরের বাসিন্দা। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। রেল সূত্রে খবর, রাজেশের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজেশের মা কল্পনা গঙ্গোপাধ্যায়। কল্পনা জানান, ‘ছেলেকে অনেক করে বোঝাতাম। বলতাম এত চিন্তা করিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমার কোনও কথাই শুনল না।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, সংসারে অনটন মেটাতে লোকের বাড়িতে কাজ করে বেড়াতেন তিনি। কিন্তু এটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি তিনি। রাজেশের জীবনের ওপর দিয়ে এর আগেও নানা অঘটন ঘটে গিয়েছে বলে জানান তাঁর মা। তিনি জানান, মুম্বই থেকে ফিরে এসে ঠিকঠাক কাজ পাচ্ছিল না রাজেশ। রাজেশের বই তাঁর ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে আগেই ছেড়ে চলে গিয়েছে। ফলে মাথার ঠিক ছিল না রাজেশের। বৃদ্ধ বয়সে ছেলেকে হারিয়ে কী করবেন, কিছুই বুঝতে পারছেন না কল্পনা।