হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোর ঘুষি মেরে দিল কর্তব্যরত চিকিৎসককে। এমনটাই অভিযোগ। দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। এদিকে ঘটনার পরই ফাঁসিদেওয়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। ওই কিশোর ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল। রবিবার রাতে সে আচমকা চিকিৎসককে সজোরে ঘুষি মারে বলে অভিযোগ। তবে চিকিৎসককে ঘুষি মারার অভিযোগ মানতে চায়নি কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। কিশোরের পরিবারের দাবি, চিকিৎসককে সে ঘুষি মারেনি। হাত তুলেছিল। তাতেই লেগে গিয়েছে। কিন্তু হাত তুললে কীভাবে চিকিৎসকের লেগে গেল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। রোগীর পরিজনদের দাবি, চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে সমণ্বয় বৃদ্ধি করা দরকার।
তবে এবারই প্রথম নয়, করোনা আবহের মধ্যে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসক, নার্স ও নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও গত ১৭ই অগস্ট এক রোগিণীর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ওয়ার্ডের মধ্যেই চিকিৎসক, নার্সকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে রোগিণীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। জুলাই মাসে একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতার ব্রড স্ট্রিটে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই এই চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।