দোলনায় দোল খাওয়ার সময় গলায় দড়ি জড়িয়ে মৃত্যু হল এক নাবালিকার। রবিবার দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের আনখোনা পঞ্চায়েতের মরুডাঙ্গা গ্রামে।
এদিন ঘরের দোলনায় দোল খাচ্ছিল নাবালিকা। কিছুক্ষণ পর তার সাড়াশব্দ না-পেয়ে মা তাকে ডাকতে গিয়ে দোলনায় মেয়েকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখে চিৎকার করে ওঠেন। তড়িঘড়ি ছুটে আসেন তার বাবা ও প্রতিবেশীরা। সেখান থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে প্রথমে কাঁদরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পরই মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে মৃত্যু হয় ওই বালিকার। সোমবার খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এসে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই নাবালিকার নাম অন্নপূর্ণা প্রামাণিক (১১)। স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল সে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দোলনায় দোল খাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত দড়িতে ফাঁস লেগে যায় ওই নাবালিকার। এরপর আর নিজেকে ছাড়াতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্নপূর্ণাদের মাটির দোতলা বাড়ি। ওই বাড়ির দোতলায় ছোট্ট ঘরে মেয়ের জন্য দোলনা লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাবা লক্ষ্মণ প্রামাণিক। রোজই ওই দোলনায় দোল খেত অন্নপূর্ণা। এদিনও দুপুর বেলায় স্নান সেরে দোতলার ঘরে উঠে যায় সে। নীচে তখন সংসারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন তার বাবা-মা। অনেকক্ষণ ধরে মেয়ের সাড়া না-পেয়ে দোতালায় তাকে ডাকতে যান মা চন্দনা প্রামাণিক। উপরে উঠে তিনি আঁতকে ওঠেন। দেখেন, দোলনার দড়িতে গলায় ফাঁস লেগে মাটির দিকে সামান্য উঁচুতে ঝুলছে তাঁর মেয়ে। এই দেখামাত্রই চিৎকার করে ওঠেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ওই দোলনার একধারের দড়ির বাঁধন খানিকটা আলগা ছিল। মেয়ে সেটা জানত না। তবে কীভাবে ফাঁস লাগল, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না-তাঁরা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।