গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠে আসছে। এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে যেমন অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার তেমনি রাজ্যে নারীদের সুরক্ষা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই সমস্ত অভিযোগের মধ্যেই এবার শান্তিনিকেতনে এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। চড়ক মেলা দেখতে গিয়ে নাবালিকাকে ৪-৫ জন মিলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সরাসরি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেননি বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, ‘তিন-চারজন মিলে নাবালিকাকে অত্যাচার করেছে।’ এদিকে, এই ঘটনার পরে ওই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের ওই গ্রামে প্রতিবছর চড়ক মেলা আয়োজিত হয়। এ বছরও চলছিল চড়ক মেলা। তা দেখার জন্য বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ওই আদিবাসী নাবালিকা। অভিযোগ, মেলা দেখার সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখানোর সময় নাম করে পাঁচজন যুবক নাবালিকাকে একপ্রকার জোর করে তুলে নিয়ে যায় একটি নদীর ধারে। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই নাবালিকা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গা থেকে গণধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় নারীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।