আবার গণধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজ্যে। এবার নাবালিকাকে বাড়িতে ঢুকে ধুপগুড়িতে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এমনকী অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার পরিবার থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় তাঁদের বাধা দেয় স্থানীয় মাতব্বররা। কিন্তু নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে ধূপগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি ভেমটিয়া এলাকার বাসিন্দা নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। গত সোমবার ৭–৮ জন যুবক গণধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। আর থানায় যাওয়ার সময় গ্রামের মাতব্বররা বাধা দেয়। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরিবর্তে সালিশি সভা করে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার নিদান দেওয়া হয়।
কীভাবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এল? সূত্রের খবর, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। আর পরে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এই পরিস্থিতি দেখে পরিবারের সদস্যরা নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয় ধুপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে নির্যাতিতাকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। তখনই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনাটি।
কারা রয়েছে এই গণধর্ষণের পিছনে? এই ঘটনার পর একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। যা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। সেই অডিও ক্লিপে নাম শোনা যায় সোহেল আলম এবং তার সঙ্গীদের। তাদের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে। ওই অডিও ক্লিপে ৭–৮ জন মিলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে দাবি করে সোহেল। এই ঘটনা পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে।