বছর ৪২-র এক ব্যক্তির বিয়ের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না নাবালিকা। আর সেই ক্ষোভেই পরিবারের লোকের সঙ্গে সার্কাস দেখে ফেরার সময় তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করা হল। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হল বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার জোড়াবাঁধ এলাকায়।
আহত নাবালিকা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনও গ্রেফতার করা না গেলেও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নাবালিকার পরিবারের লোকেরা এই ঘটনায় ক্ষীরাই গ্রামের বাসিন্দা মুস্তাফা খানের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে ওই ব্যক্তি তাঁদের মেয়েকে বিরক্ত করছে বলে অভিযোগ। কিন্তু, তার প্রস্তাবে রাজি হননি ওই নাবালিকা।
পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের মেয়ের বয়স এখনও ১৫ বছর হয়নি। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। ব্যক্তির বয়স ৪২ হওয়ায় তাঁরা কোনওভাবেই বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। অভিযোগ, গত বুধবার সপরিবারে সার্কাস দেখে ফেরার সময় তাদের রাস্তা আটকায় মুস্তাফা খান ও তার দলবল। তাতে বাধা দিতে গেলে মুস্তাফা খান এবং তার দলবল নাবালিকা এবং তাঁর পরিবারের লোকদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। ওই নাবালিকার হাতে ও পায়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপাতে শুরু করে।
পরে অন্যান্য স্থানীয়রা সেখানে চলে আসলে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার পরিবার। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুস্তাফার খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।