এবার পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল বিজেপির এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন এই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধানতলা থানার শিবপুরে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুধাংশু সমাজদার বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে পানিখালি– দোলুয়াবাড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
এই বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে অভিযুক্তর বাড়িতেও। তবে কোনও ভাঙচুর করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই বিজেপি নেতার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাঁদের বোঝাবার তেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপি নেতা সুধাংশু সমাজদার পেশায় গৃহশিক্ষক। অভিযোগ, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বেতন দেবেন বলে তাঁর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, অন্যান্য পড়ুয়াদের টিফিনের জন্য ঘরের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে শিক্ষক তথা বিজেপি নেতা ছাত্রীকে ঘরের ভেতরে দরজা বন্ধ করে নিগ্রহ করছে।
এই বিষয়ে ছাত্রীর মা জানান, বেতন দিতে গিয়ে দেখি পড়ার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সব ছাত্রছাত্রীরা বাইরে থাকলেও আমার মেয়ে ঘরের ভিতরে ছিল। তখন দরজা ধাক্কা ধাক্কি করতেই মেয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। আগেও মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করেছিল ওই বিজেপি নেতা। এমনকী মেয়েকে ভয় দেখিয়ে বলেছিল, বাড়িতে বিষয়টি জানালে খুন করে কুয়োতে ফেলে দেওয়া হবে। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। আমি একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকি। তাই ভয়ে বাড়িতে কিছু বলেনি। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এই অভিযুক্ত বিজেপি নেতার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার কিষান মোর্চা সভাপতি অশোক বিশ্বাস। এমনকী রানাঘাট উত্তর–পূর্ব বিধানসভা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার বলেন, ‘এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। শুধু রানাঘাট–২ ব্লকে নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে এই কালচারই চলছে। মূল অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’